নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্কুল শিক্ষক মো. কামাল হোসেনসহ তার পরিবারের ৫জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মো. মনোয়ার হোসেন শাহীনের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন সওদাগর বাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্কুল শিক্ষকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্কুল শিক্ষক কামাল হোসেন চাঁদখালী এ রব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে।
অপর আহতরা হলেন- সালেহা বেগম, রানী বেগম ,রোকেয়া বেগম জান্নাতুল ফেরদৌস টিনা।
পুলিশ ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী গংদের সঙ্গে একই বাড়ীর আলী আকবর গংদের সাথে দীর্ঘদিনে জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ওই বিরোধ কৃত জমিতে সম্প্রতি মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে রাজু ও আনোয়ার ঘর করতে গেলে আলী আকবরের ছেলে জামাল হোসেন থানায় একটি অভিযোগ করেন। দুপুরে ওই বিরোধকৃত জমিতে ঘরের কাজ করতে গেলে জামালের স্ত্রী কুলসুম বেগম বাধা দেয়। বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার ও তার লোকজন কুলসুমকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে, তার মাথা ফেটে যায়। ওইসময় তাদের পুরুষ কেউ বাড়িতে ছিলেন না। মোবাইল ফোনে বিষয়টি কামাল মাস্টারকে বাড়ি থেকে জানানো হয়।
কামাল মাস্টার সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাড়িতে যান। কুলসুম বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতাল আনার জন্য। কামাল মাস্টারের উপস্থিতি দেখে ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার ও তার দু’ভাইসহ লোকজন কামাল মাস্টারকে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকেন। কামাল মাস্টারকে বাঁচাতে এসে হামলার শিকার হন তার পরিবারের ৪ নারী।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কামাল মাস্টার সাংবাদিকদের জানান, বাড়িতে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে কুলসুমকে হাসপাতালে আনার জন্য। মনোয়ার অন্যায়ভাবে আমাকে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্রে দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার মাথা, হাত ও পা গুরুতর জখম হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ঢাকা রেফার করছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন শাহীনকে একাধিকবার মোবাইল করার পর রিসিভ করে কথা বলেননি।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম হোসেন আফজাল বলেন, দুপুরে এক পরিবারে নারী-পুরুষ ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয় মারামারির অভিযোগে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে ঢাকা রেফার করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে
More Stories
লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন
স্মার্ট কর্নারের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে
লক্ষ্মীপুরে বায়েজিদ ভূইয়ার উদ্যোগে শোক দিবসের আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ