নভেম্বর ২৩, ২০২৪

লক্ষ্মীপুর নিউজ

দিন বদলের প্রত্যয়ে

লক্ষ্মীপুরে টুমচর গ্রামে কালি পুজা উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে এবার ধুমধাম আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে টুমচর গ্রামের কালি পুজা। সদর উপজেলার ২১ নং টুমচর ইউনিয়নের মজুমদার বাড়ির সামনে কালি মাতা মন্দিরটি  ঐতিহ্যবাহী একটি মন্দির। যদিও এলাকার সকলে মিলে প্রতিবছর ছোট করে কালিপুজা করতো। কিন্তু এলাকার যুব সমাজ এবং তরুনরা উদ্যেগী হয়ে এবার বড় আকারে ধুমধাম করে কালি পুজার আয়োজন করে। গ্রামের সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্মীয় এই উৎসব পালনের জন্য মজুমদার বাড়ির শ্রীশ্রী কালি মাতা মন্দিরে মায়ের পুজোতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। এভাবেই গ্রামের সকল হিন্দুরা মিলেমিশে থেকে ঐকবদ্ধ হয়ে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবে উৎসক আগ্রহ নিয়ে পালন করবে এবং প্রত্যেকে প্রত্যেকের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাসা করেন স্থানীয়রা। এদিকে পুজাকে কেন্দ্র করে টুমচর গ্রামে সাজ সাজ রব। বিভিন্ন রং এর লাইট দিয়ে আালোকিত এলাকা আধুনিক সাজে সজ্জ্বিত মন্দির প্রাঙ্গন। আনন্দে মাতোয়ারা আজ ভক্তকুল । পুরো হিন্দু পাড়াতে যেন উৎসবের আমেজ বইছে। পুজা পরিদর্শনে লক্ষ্মীপুর সদর২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুদ্দিন চৌধুরী নয়ন আসার কথা থাকলেও তিনি জরুরী কাজে ঢাকায় থাকায় আসতে পারেনি তবে তিনি ভার্চুয়ালি বক্তব্যের মাধ্যমে টুমচর গ্রামের হিন্দুদের উদ্দেশ্যে এবং মন্দিরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একই সাথে তিনি মন্দিরের উন্নয়নে নগদ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন। এছাড়াও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান যুবলিগের যুবরাজ জনপ্রিয় নেতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু টুমচর পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নের এবং গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস প্রধান করেন। পুজো পরিদর্শনে আসেন লক্ষ্মীপুর জেলা হিন্দুদের নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু সংকর মজুমদার , শিমুল সাহা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম পাবেল, চেয়ারম্যান নুরুল আমিন লোলা, আওয়ামিলীগ নেতা নজরুল ইসলাম মাষ্টার, ইসমাইল হোসেন মেম্বারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পুজার অনুষ্ঠানকে সফল করতে তপন কুমার দেবদাসের সভাপতিত্বে পুজার সার্বিক কর্মকাণ্ডে সার্বক্ষণিক যুক্ত রয়েছেন কালি মাতা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শৌর মজুমদার। মন্দিরের সকল কাজে এলাকার ছাত্র ও যুবকরাসহ গ্রামের সকল মানুষ এগিয়ে এসেছেন। আগামী দিনও টুমচর গ্রামের প্রত্যেকটি ধর্মীয় উৎসবে সবাই একতাবদ্ধ থেকে সবাই আনন্দ ভাগাভাগির মধ্য দিয়ে নিজেদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখবেন এমনটাই প্রত্যাসা করেন সবাই।

Please follow and like us:
error20
fb-share-icon
Tweet 20
fb-share-icon20

About Author