জগন্নাথ দাস :
লক্ষ্মীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় মা নাজমা আক্তার ও তার ছেলে মারুফ হোসেন একসঙ্গে গুরুত্বর আহত হওয়ার ১০ ঘন্টা পর মারা গেছেন মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থী তার ছেলে মারুফ। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে শুক্রবার সকালে মারা যান ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই পরিবারের আরো দুই সদস্যসহ আহত হয়েছেন ৩ জন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের মিয়ার বেড়ী নামক স্থানে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দূর্ঘটনার শিকার হন তারা।
জানা যায়, রামগতির আলেকজান্ডার এলাকায় মেঘনা নদী ভ্রমন শেষে বৃহস্পতিবার রাতে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন মা ও ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে এসে সিএনজি চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় রাস্তার পাশের একটি পাওয়ার ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মা ও ছেলে গুরুত্বর আহত হওয়াসহ একই পরিবারের ৪জন ও সিএনজি চালকসহ ৫ জন আহত হন। পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে মারুফের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার শুক্রবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় মারুফ। বেলা ১১ টায় স্থানীয় টুমচর গ্রামে হাজারো মানুষের অংশ গ্রহনে নামাজে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে মারুফকে দাফন করা হয়।
এদিকে গুরুতর আহত মা নাজমা বেগম বেঁচে থাকলেও সন্তান হারিয়ে অচেতন অবস্থায় সদর হাসপাতালের চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এদিকে পুলিশ পাওয়ার ট্রলি ও চালককে আটক করলেও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় থানায় মামলা হয়নি।
নিহত মারুফ সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের প্রবাসী কামাল উদ্দিনের ছেলে ও টুমচর মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
লক্ষ্মীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যু আহত মা অচেতন
Please follow and like us:
More Stories
গণিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে লক্ষ্মীপুরে মতবিনিময় সভা
লক্ষ্মীপুরে হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন