নভেম্বর ২২, ২০২৪

লক্ষ্মীপুর নিউজ

দিন বদলের প্রত্যয়ে

শোক শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলো লক্ষ্মীপুরের লাখো মানুষ

নিউজ ডেস্ক :
শোক শ্রদ্ধায় ইতিহাসের মহা নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বরণ করলো লক্ষ্মীপুরের লাখো মানুষ। জেলাব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। বুধবার (১৫ আগস্ট) উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাল্টেরেট প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অপর্ন করা হয়।
৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের শোক র‌্যালি শহর প্রদক্ষিন করে। পরে আলোচনাসভা, কাঙ্গালী ভোজ, দোয়া ও মাহফিলসহ জেলা ব্যাপী নানা কর্মসুচি আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। জেলা শহরে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহাজান কামাল, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, র‌্যাব লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেশ চাকমা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফা খালেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা সভাপতি ফরিদা ইয়াছমিন লিকা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল প্রমুখ।
শোক সভায় বক্তারা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে খুন করার কথা তুলে ধরে অবিলম্বে খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকরের দাবী জানান।
এছাড়া লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের প্রায় ১০ হাজার লোকের জন্য গণভোজনের আয়োজন করেন। ব্যাতিক্রমী আয়োজন ছিল কোরানখানি।
রামগতির এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রামগঞ্জে আনোয়ার খান, লক্ষ্মীপুর সদরে আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, রায়পুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল ও রামগতিতে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুজ্জাহের সাজু নিজ নিজ উদ্যোগে ব্যাপকভাবে শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেন। প্রতিটি ইউনিয়নে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শোক দিবস পালন করা হয়।
জেলার অধিকাংশ মসজিদে বঙ্গবন্ধুসহ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মন্দিরে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় বঙ্গবন্ধুর জন্য।
এসব পৃথক কর্মসুচিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারী, আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লাখো মানুষ অংশ নেন।

Please follow and like us:
error20
fb-share-icon
Tweet 20
fb-share-icon20

About Author